শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

| ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

‘নিয়োগে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা ইবি উপাচাযের্র’

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

‘নিয়োগে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা ইবি উপাচাযের্র’

সংবাদ সম্মেলন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ড. বখতিয়ারের পদাবনতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। এসময় সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নিয়োগ বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের আইনগত অধিকার থাকা সত্ত্বেও সেটিকে অসৌজন্যমূলক আচরণ হিসেবে আখ্যায়িত করলে ভবিষ্যতে বিভাগের সভাপতিদের স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করা দূরহ হয়ে পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে এধরনের নজির স্থাপন ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না; প্রকারান্তে এটি ব্যক্তি প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

তারা আরো বলেন, এ বিষয়ে ড. বখতিয়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশের পর উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেন তিনি। এসময় আদালত এর কার্যক্রম স্থগিত করেন। এছাড়া এবিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত চলমান। এমন সময় উপাচার্য তার আস্থাভাজন তদন্ত কমিটির রিপোর্টের মাধ্যমে ড. বখতিয়ারকে শাস্তি প্রদান করেন।

তারা বলেন, উপাচার্য এ ধরনের কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের তদন্ত কার্যক্রমকে ভিন্নখাতে চালানোর চেষ্টা করছেন অন্যদিকে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে সামনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করছেন। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত শিক্ষক সমিতি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি তার একনায়কতন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।

ড. বখতিয়ারের শাস্তির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তাকে এ শাস্তি দিয়েছে। এ বষয়ে আমার বলার কিছু নেই।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডে প্রার্থী চূড়ান্তকরণ নিয়ে মাতানৈক্যের জেরে স্বাক্ষর না করেই বোর্ড থেকে বের হয়ে যান বিভাগের তৎকালীন সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসান। এ ঘটনায় ড. বখতিয়ারের বিরুদ্ধে বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের সাথে অশোভন আচরণের লিখিত অভিযোগ করেন বোর্ডের এক সদস্য। পরে এবিষয়ে তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরীবিধি অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি প্রদান করা হয় ড. বখতিয়ারকে। 

পরে তার পদাবনতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে চিঠি প্রাপ্তির দিনই মানবন্ধন করে নওগাঁ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি। এছাড়া একই দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে আল্টিমেটাম দিয়েছে শাপলা ফোরাম। এদিকে এ ঘটনাকে ব্যক্তি প্রতিহিংসার হাতিয়ার দাবি করে এর প্রতিবাদ জানায় বিশ^বিদ্যালয়ের ২১টি বিভাগের সভাপতি।

এআই