শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

| ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

কবে বই উৎসব কেউ জানে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৪৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

কবে বই উৎসব কেউ জানে না

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে ২৫ দিন বাকি। এখনো ৮ কোটি বই ছাপা বাকি। এখনো চূড়ান্ত হয়নি ছয়টি বইয়ের পা-ুলিপি। ফলে প্রতিবছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দিয়ে উৎসবের আয়োজন করা হলেও এবার তা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীও আভাস দিয়েছেন। কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা নতুন বছরের বই পাবে- জানাতে পারেনি মন্ত্রণালয়।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, নতুন কারিকুলামের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ছয়টি বইয়ের এখনো চূড়ান্ত পা-ুলিপি পায়নি এনসিটিবি। ‘ওপরের নির্দেশের অপেক্ষায়’ এই পা-ুলিপি আটকে আছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে। পান্ডুলিপি চূড়ান্ত হওয়ার পর এসব বই ছাপা শুরু হবে। তবে কবে শুরু হবে-  এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলরা কোনো জবাব দিতে পারেননি। চলতি বছর নতুন কারিকুলামের কয়েকটি বই নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় এসব পান্ডুলিপি অধিকতর যাচাইবাছাই চলছে বলে সূত্রটি জানায়।

ছাপা হওয়া বইগুলো উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছাতেও পোহাতে হচ্ছে ঝক্কি-ঝামেলা। হরতাল-অবরোধ আর রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে স্বাভাবিক বই সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটছে।

নতুন শিক্ষাবর্ষ চালু হতে ২৫ দিন বাকি। অথচ এখনো বিভিন্ন শ্রেণির ৮ কোটির বেশি বই ছাপা বাকি রয়েছে বলে জানা গেছে। গত কয়েক বছরে জানুয়ারির শুরুতে কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসব করা হলেও শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছাতে কোনো কোনো উপজেলায় মার্চ মাসও পেরিয়ে গেছে।

আগামী বছরে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে তা হিসাব করেই সংশয়ে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। বর্তমানে ছাপা হওয়া বইগুলো উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছাতেও পোহাতে হচ্ছে ঝক্কি-ঝামেলা। হরতাল-অবরোধ আর রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে স্বাভাবিক বই সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটছে।

ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ এবং ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ ও ‘বিজ্ঞান অনুশীলন পাঠ’ বইয়ের চূড়ান্ত পান্ডুলিপি এখনো হাতে পায়নি এনসিটিবি। নবম শ্রেণির ছাপা হয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ বই। এ শ্রেণিতেও পান্ডুলিপি চূড়ান্ত হয়নি ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ এবং ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ ও ‘বিজ্ঞান অনুশীলন পাঠ’ বইয়ের। সব মিলিয়ে দুই শ্রেণির ছয়টি বইয়ের পান্ডুলিপি চূড়ান্ত হয়নি।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণির ১০ কোটি বই ইতোমধ্যে ছাপা শেষ করে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণির সব বইও ছাপা হয়েছে। তবে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের পান্ডুলিপি দেরিতে পাওয়ায় এখনো ছাপা শেষ হয়নি। অষ্টম শ্রেণির বই ছাপা হয়েছে ২২ শতাংশ। এই শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ এবং ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ ও ‘বিজ্ঞান অনুশীলন পাঠ’ বইয়ের চূড়ান্ত পা-ুলিপি এখনো হাতে পায়নি এনসিটিবি। নবম শ্রেণির ছাপা হয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ বই। এ শ্রেণিতেও পান্ডুলিপি চূড়ান্ত হয়নি ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ এবং ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ ও ‘বিজ্ঞান অনুশীলন পাঠ’ বইয়ের। সব মিলিয়ে দুই শ্রেণির ছয়টি বইয়ের পান্ডুলিপি চূড়ান্ত হয়নি।

জানা গেছে, মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির ২১ কোটি বই ছাপা হচ্ছে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য। এর মধ্যে ১৩ কোটি বই ছাপা হয়ে চলে গেছে উপজেলা পর্যায়ে। বাকি ৮ কোটি বই এখনো ছাপার বাকি রয়েছে। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানকে দেরিতে ছাপাকাজ দেওয়া, এখনো ছয় বইয়ের পা-ুলিপি চূড়ান্ত না হওয়ায় নতুন শিক্ষা বছরে পিছিয়ে যাচ্ছে বই উৎসব। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দোহাই দিয়ে বই উৎসব পেছানোর কথা জানানো হয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের জানান, এবার বই উৎসবটা ঠিক ১ জানুয়ারি হবে নাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১০-১১ (জানুয়ারি) তারিখে হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা জানুয়ারির ১ তারিখে বই উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে। ছয়টি বইয়ের পা-ুলিপি এখনো চূড়ান্ত না হওয়া ও ৮ কোটি বই এখনো ছাপা না হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আশা করছি চলতি মাসেই সব বই ছাপা হবে।