
উচ্চমানের গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোয়ালিটি জার্নাল পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। গতকাল, ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ৫৭ জন শিক্ষকের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত এসব শিক্ষক ১৪৫টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ৭৪টি প্রবন্ধ স্কোপাস এর কিউ ওয়ান জার্নালের শীর্ষ ১০ শতাংশ এবং বাকি ৭১টি শীর্ষ ১৫ শতাংশের মধ্যে থাকা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
স্কোপাস একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ডেটাবেস, যেখানে স্বীকৃত ও রিভিউকৃত জার্নাল, সম্মেলনের গবেষণাপত্র ও পেটেন্টের তথ্য সংরক্ষিত থাকে। গবেষণায় ফলপ্রসু অবদান রাখার কারণে কিউ ওয়ান জার্নালসমূহ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বলছে, পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষণাগুলোর বিষয়বস্তু অত্যন্ত সময়োপযোগী ও বহুমাত্রিক-যেমন ব্যবসার সহজীকরণ, মানসিক স্বাস্থ্য ও নতুন রোগ, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন, ভাষার বিবর্তন এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ব্লকচেইনের ব্যবহার।
পোশাক খাত নিয়ে পরিচালিত গবেষণাসমূহ বৈশ্বিক বাণিজ্যে ফলপ্রসু ভূমিকা রাখছে। ভ্যাকসিন সংরক্ষণের পদ্ধতি গবেষণা খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও অভিবাসন নিয়ে গবেষণা তরুণদের যুক্ত করছে বৈশ্বিক আলোচনায়। আর শহরের উঁচু সড়ক যেমন ফ্লাইওভার বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কীভাবে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে গবেষণা নগর পরিকল্পনায় নতুন নতুন সমাধান দিচ্ছে।
এই গবেষণাগুলো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কৌশলগত স্তম্ভ “রিসার্চ ফর ইমপ্যাক্ট”-এর সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। যার লক্ষ্য হলো গ্লোবাল সাউথ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গবেষণালব্ধ জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোর কার্যকর সমাধান বের করা।
“ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিশেষত্ব হলো-আমাদের শিক্ষা ও গবেষণার ভিত্তি গড়ে উঠেছে মানব উন্নয়নের উপর”- বলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।
“বাংলাদেশ সরকার ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকে। গবেষণামুখী উদ্ভাবনের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছে”-অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাইদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিডিডিআরবি-র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. ফেরদৌসী কাদরী এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান।