
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর টানা অবরোধে আবার অনলাইন ক্লাসে ফিরেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সামনে আরও রাজনৈতিক কর্মসূচি আসতে পারে এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে- এমন শঙ্কায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ভার্চুয়ালি ক্লাস নিচ্ছেন তারা। তবে পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে শুক্র ও শনিবারকে। এই দুদিন সাধারণত ঢাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে না।
যদিও উল্টো চিত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পূর্বঘোষিত পরীক্ষাও নিচ্ছে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। তবে কোনো কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধে বন্ধ রেখেছে পরীক্ষা কার্যক্রম।
অনলাইনে ক্লাস নিতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠাচ্ছে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিভাগের শিক্ষক ও ব্যাচের ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভদের (সিআর) মাধ্যমেও বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন তথ্য। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আইইউবিএটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনা করছে অনলাইনে।
আর পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে অফলাইনে। পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে শুক্র ও শনিবারকে। কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্র ও শনিবার হরতাল কিংবা অবরোধের মতো কর্মসূচি থাকে না। এছাড়া শিক্ষার্থীরা সশরীরে পরীক্ষা দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এ কারণে পরীক্ষাগুলো ক্যাম্পাসে সশরীরে নেওয়া হচ্ছে।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সবার আগে দেখতে হবে। অবরোধে কেউ ক্লাসে আসতে গিয়ে হামলার শিকার হলে তখন বিষয়টি গুরুতর হয়ে যাবে। হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ক্লাসগুলো নেওয়া হবে অনলাইনে। তবে অফিস খোলা থাকবে।
অন্যদিকে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হচ্ছে সশরীরে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবহনও চলাচল করছে। এরই মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ভাংচুর করেছে বিক্ষুদ্ধরা। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।