শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

| ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

ইবির শিক্ষকদের গাড়ি চালককে পেটালেন ভাড়া বাসের চালক

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১১ নভেম্বর ২০২৩

ইবির শিক্ষকদের গাড়ি চালককে পেটালেন ভাড়া বাসের চালক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকদের গাড়ির দুইজন চালক মোমিন শেখ ও সালাউদ্দীনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন ক্যাম্পাসের ভাড়া বাস সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম ও তার সহযোগী লালনসহ কয়েকজন। ১১ নভেম্বর, শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে বৃত্তিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী চালক মোমিন শেখ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক ও প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে তিনি অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চালক। এদিকে নিজস্ব চালককে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্য চালকরা।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ‘সকালে ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা গাড়ি বাইরের যাত্রী উঠানোর জন্য রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে জ্যামের সৃষ্টি করেছে। আমি গাড়ি থেকে নেমে সামনে থেকে দ্রুত রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে ওই বাসের চালক ও হেলপার আমার ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করে। পরে ক্যাম্পাসের আরেক বাসের চালক সালাহউদ্দিন আমাকে বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করে এবং আমার চালিত গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে ফেলে। এ সময় আমার একটি স্মার্টফোন ভেঙে যায়, দুজনের শার্ট ছিঁড়ে যায়। হামলাকারীরা সালাহউদ্দিনের পকেটে থাকা দশ হাজার সাতশত টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং রড, লাঠিসোঁটাসহ আরও লোক ডেকে এনে আমাদের মারধর করে। সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম, হেলপার লালন, গঞ্জরুবি গ্রামের জুয়েল এবং রবিউলসহ প্রায় ৩০ জন মিলে তাদের ওপর এ হামলা চালায়।’

অভিযুক্ত সুয়াইল পরিবহনের চালক জসিম বলেন, আমি ঘটনার সময় বাস থেকে নামিইনি। এমনিতেই প্রতিটি বাজারে ভ্যান, সিএনজি পরিবহনের জন্য জ্যাম থাকে। তো ওই সময় জ্যাম সৃষ্টি হলে সরকারি বাসের ড্রাইভার এসে আমাদের হেলপারকে বকাবকি করেন ও মারতে উদ্যত হন। এ সময় আমি বাস সামনে এগিয়ে সাইড দিই তাদের। হেলপারের বাড়ি ওই এলাকায় হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে অনেক লোকের সমাগম হয় এবং মারামারির সৃষ্টি হয়। এতে আমার বাসের হেলপার প্রচণ্ড মারধরের শিকার হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। জানতে পেরেছি তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমার কাছে তারা লিখিত দিতে এসেছিল। যেহেতু পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিষয় তাই পরিবহন প্রশসকের কাছে লিখিত দিতে বলেছি। পরিবহন প্রশাসক না থাকায় আমাকে লিখিত কপির অনুলিপি দিয়েছিল। আমি সেটা রেজিস্ট্রারের কাছে ফরওয়ার্ড করেছি। বিশ^বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে।’

কুষ্টিয়া জেলা বাস-মিনি বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে নিজেরা আগে বসবো। আর বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আগামীকাল (রবিবার) বসবো।

বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বাইরের লোক আমাদের নিজস্ব চালককে মেরেছে এমন অভিযোগ এসেছে। অফিসিয়াল প্রসিডিউর অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।