মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

| ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

ইবিতে গাজাবাসীর পক্ষে নিচ্ছে অনুভূতি, লেখা হবে বড় ‘শোক বই’

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ২৯ জুন ২০২৫

ইবিতে গাজাবাসীর পক্ষে নিচ্ছে অনুভূতি, লেখা হবে বড় ‘শোক বই’

গাজায় চলমান নৃশংসতা ও মানবতার বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী কৌশল এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ শুরু করেছে বাংলাদেশের মানবিক সংগঠন ‘মোরাল প্যারেন্টিং পরিবার’। ফিলিস্তিনদের জন্য দালিলিক প্রামাণ্য চিত্র হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শোক বই তৈরির লক্ষ্যে সারাদেশব্যাপী সাধারণ মানুষের হাতে লেখা আবেগ, অনুভূতি, প্রতিবাদী ও মুক্তির ভাষা সংগ্রহ করছে সংগঠনটি।

এরই অংশ হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শুরু হয়েছে “শোক বই লেখা” ক্যাম্পেইন। দিতে পারেন আপনার অনুভূতিও। একদিন হয়ে ওঠবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দালিলিক প্রমাণ।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না ও ঝাল চত্বরের মাঝামাঝি আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই লেখা সংগ্রহ কর্মসূচি আগামী ৩-৪ দিনব্যাপী চলবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এরপর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগৃহীত লেখাগুলো একত্রিত করে একটি বৃহৎ শোক বই হিসেবে সংকলন করা হবে। যা নিবেদিত থাকবে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি। সাক্ষী দিবে মুক্তির দলিল হিসেবে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন এই মানবিক উদ্যোগে। অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের নাম, ঠিকানা ও স্বাক্ষর-সহ হাতে লেখা শোকবার্তা জমা দিচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে একটি শক্তিশালী মানবিক দলিল হিসেবে সংরক্ষিত হবে।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, বইটি পরবর্তীতে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সেলিব্রেটি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের মূল্যবান মন্তব্যে সমৃদ্ধ করে ঢাকার একটি জাতীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে। যেন আগামী প্রজন্ম জানতে পারে— “আমরা নীরব থাকিনি। পাশে ছিল বাংলাদেশ”

এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে মোরাল প্যারেন্টিং পরিবারের ইবি প্রতিনিধি মিশুক শাহরিয়ার জানান,“গাজায় যা ঘটছে, তা সময়ের পরিক্রমায় হারিয়ে যেতে পারে। শক্তিশালী দলিল হিসেবে শোক বই প্রকাশে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা তরুণ প্রজন্ম চাই শান্তি, ন্যায়বিচার এবং মানবিকতা। এই শোক বই শুধু একটি দলিল নয়, এটি হবে ন্যায়বিচারের দাবিতে লেখা একটি মানবিক ইতিহাস।”