শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

| ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

নির্বাচনের আগমুহূর্তে সভাপতি প্রার্থী বদলি, ক্ষোভ-অসন্তোষ শিক্ষা ক্যাডারে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩৯, ৮ জুন ২০২৪

নির্বাচনের আগমুহূর্তে সভাপতি প্রার্থী বদলি, ক্ষোভ-অসন্তোষ শিক্ষা ক্যাডারে

দেশের শিক্ষা ক্যাডারদের সংগঠন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামীকাল রবিবার। এই নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই বদলি করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা ক্যাডারদের সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীকে। এর আগে দুই দফায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচিত মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নির্বাচনের আগমুহূর্তে তার বদলিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের শিক্ষা ক্যাডারে ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে কলেজ ও প্রশাসন দপ্তরের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে ৫ জুন রাতে তাকে বদলি করা ষড়যন্ত্রমূলক এবং শুধু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এটি করা হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষক নেতা অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি পক্ষ আমাকে বদলি করিয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারের মর্যাদা-অধিকার রক্ষায় যারা কাজ করে তাদের এই পক্ষ রুখে দিতে চায়। তারা আসলে শিক্ষা ক্যাডারকে গ্রাস করতে চায়।

তিনি বলেন, যদিও নির্বাচন প্রভাবিত করতে এটি করা হয়েছে কিন্তু শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা আগামীকালের নির্বাচনে ‘গ’ প্যানেলের পক্ষেই থাকবেন বলে আমি আশাবাদী।

‘গ’ প্যানেল ঠেকিয়ে নির্বাচনে অন্য একটি প্যানেলকে ‘বাড়তি’ সুবিধা দেওয়ার জন্যই তড়িঘড়ি করে ‘গ’ প্যানেলের প্রধানকে বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষা ক্যাডার নেতৃবৃন্দ। নির্বাচনের তিন দিন আগে এক প্যানেলের সভাপতি প্রার্থীকে বদলি করা শিক্ষা প্রশাসনের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক।

গত ৫ জুন রাতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ‘গ’ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীকে বদলি করে অফিস আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

অফিস আদেশ থেকে জানা যায়, শাহেদুল খবির চৌধুরীকে ঢাকার সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবিএম রেজাউল করীমকে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তথ্যমতে, আগামীকাল রবিবার সারা দেশে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ৯৫ পদে মোট ২৩২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন প্যানেলের বাইরে অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তিন প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন শিক্ষা ক্যাডারদের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী, অধ্যাপক মামুন উল হক ও আ জ ম রুহুল কাদীর। এ নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার।

খবর: বাংলাদেশ প্রতিদিন