
সরকারি তিতুমীর কলেজকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’-এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে আমরণ অনশনে বসতে যাচ্ছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ২টায় তিতুমীর ঐক্যের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
তিতুমীর ঐক্যের সদস্য রাশেদ ইসলাম বলেন, ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের শুরু থেকেই দিনরাত এক করে কাজ করেছি। তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরা আগামীকাল থেকে আমরণ অনশনের মাধ্যমে নিজেদের উৎসর্গ করতে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়ার দাবি আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনশন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন আন্দোলন করার পর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে গত ৭ জানুয়ারি এই ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে ব্যানার টাঙিয়ে দেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। নিজেদের দাবি ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করলেন।
তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেছিলেন, এটা শুধু একটি পদক্ষেপ নয়, তিতুমীর কলেজের দীর্ঘ ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। মুক্তিযুদ্ধের সময়েও এই কলেজের ছাত্ররা দেখিয়েছিল সাহসিকতার দৃষ্টান্ত। তারা তৎকালীন ‘জিন্নাহ কলেজ’ নামটি ফেলে দিয়ে পরিবর্তন করেছিল ‘তিতুমীর কলেজ’ নামে। সেই ঐতিহাসিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আজকের এই উদ্যোগ যেন আরও একবার সেই গৌরবময় অধ্যায়ের স্মৃতি উসকে দিল।
তবে শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রানী মণ্ডল বলেছেন, কলেজের নাম পরিবর্তনে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা সম্ভব কি না, তা যাচাইয়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।