শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

| ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

নতুন তালিকা তৈরি হচ্ছে

জাল সনদধারী ৫০০ শিক্ষকের এমপিও বাতিল হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২৯, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

জাল সনদধারী ৫০০ শিক্ষকের এমপিও বাতিল হবে

ছবি- প্রতীকী

সারাদেশের স্কুল-কলেজে জাল সনদে চাকরি করা শিক্ষকদের শেষ রক্ষা হচ্ছে না। অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া এসব শিক্ষকদের মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) বাতিল হবে। সেই সঙ্গে বন্ধ হবে সরকারি বেতন-ভাতাও। এ ছাড়া জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশও করা হবে। খুব শিগগির জাল সনদে চাকরি করা আরও প্রায় ৫০০ শিক্ষক কর্মচারীর তালিকা পাঠানো হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, ২০১২ সাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের জাল সনদ সনাক্ত শুরু হয়। আর গত কয়েক বছর ধরে জাল সনদ ধরতে জোরেশোরে মাঠে নেমেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। এরই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে জাল সনদধারী ৬৭৮ শিক্ষক কর্মচারীর তালিকা পাঠিয়ে তাদের সরকারি বেতনের অংশ (এমপিও) বন্ধ করতে সুপারিশ করা হয়েছে।

একইভাবে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগে জাল সনদধারী শিক্ষক কর্মচারীর তালিকা পাঠানো হয়েছে প্রায় ২০০ জনের। এই জাল সনদধারীদের অধিকাংশেরেই বর্তমানে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) বন্ধ রয়েছে। তবে এই শিক্ষক-কর্মচারীদের অনেকেই চাকরি ফেরত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন বলে জানা গেছে। অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন এবং মানবিক কারণ দেখিয়ে এই রিট করেছেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জাল সনদধারী এই শিক্ষকদের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সনদ (এনটিআরসিএ), কম্পিউটার সনদ,  বিএড সনদসহ বিভিন্ন ডিগ্রীর জাল সনদ রয়েছে। আর অ্যাকাডেমিক সনদ (এসএসসি, এইচএসসি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রদানকৃত ডিগ্রীর) যাচাই করলে আরো অনেক জাল সনদ ধরা পড়বে। এছাড়া দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রকার সনদ দিচ্ছে যাদের এগুলো দেয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।

ডিআইএ সূত্র বলছে, বন্ধ হওয়া আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার উল্লেখ্যজনকহারে সনদ ধরা পড়ছে। এসব সনদের সবগুলোই জাল। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন না থাকা আরও কয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জাল সনদও ধরা পড়ছে।

পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, কারো সনদ জাল সনাক্তের পর আমরা তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করি। আমরা মন্ত্রণালয়কে বলি এই সনদ জাল, আর জাল সনদে গৃহীত বেতন ভাতাও ফেরতযোগ্য। সনদ জাল হলে শিক্ষক বা কর্মচারীর নিয়োগও বৈধ হয় না। তবে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর থেকে চিঠি পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো জাল সনদধারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেলে তিনি চাকরিজীবনের পুরোটা সময় ছাত্র-ছাত্রীদের বঞ্চিত করেন। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জাল সনদধারীদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া উচিত নয়।