মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

| ৪ চৈত্র ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

রাজশাহী কলেজে প্রথমবারের মতো ফ্রি কুরআন শিক্ষায় অভূতপূর্ব সাড়া

মো. আসিফ হোসেন, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:২০, ৩ মার্চ ২০২৫

রাজশাহী কলেজে প্রথমবারের মতো ফ্রি কুরআন শিক্ষায় অভূতপূর্ব সাড়া

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাজশাহী কলেজে প্রথমবারের মতো আয়োজিত মাসব্যাপী ফ্রি কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এত বড় পরিসরে এর আগে কখনো কুরআন শিক্ষার আয়োজন হয়নি, যা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য এক ব্যতিক্রমী সুযোগ তৈরি করেছে।

গতকাল থেকে রাজশাহী কলেজের এইচ এ এম কামরুজ্জামান ভবনের ১০১ নম্বর কক্ষে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমের প্রথম দিনেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ দেখা গেছে। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ১:৩০টা পর্যন্ত এই ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।

এই মহতী উদ্যোগটি নিয়েছে ইসলামিক কালচারাল ফোরাম (ICF), যেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ক্বারী মুহাম্মদ মনোয়ার হুসাইন। তার নেতৃত্বে প্রতিদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কুরআন শুদ্ধভাবে পড়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বিশেষত, যারা আগে কুরআন পড়তে পারতেন না বা ভুলে গিয়েছিলেন, তারা নতুন উদ্দীপনায় কুরআন শেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ বলেন, এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। রমজান মাসে শিক্ষার্থীরা যখন ক্যাম্পাস ছুটি থাকায় হলে অবস্থান করছে, তখন এই সুযোগটি তাদের কুরআন শুদ্ধভাবে শেখার ক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক হবে। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

ইসলামিক কালচারাল ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, রাজশাহী কলেজের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে এতো বড় পরিসরে কুরআন শিক্ষার আয়োজন আগে কখনো হয়নি। এটি মুসলিম উম্মাহ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গর্বের বিষয়। আমরা চাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের পাশে থাকুক এবং কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক গুণাবলি অর্জন করুক।

শিক্ষার্থীদের বিপুল সাড়ায় আয়োজকরা আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে এই কার্যক্রমকে আরও বৃহৎ পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। রাজশাহী কলেজে প্রথমবারের মতো নেওয়া এই উদ্যোগ ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের নতুন করে আগ্রহী করে তুলেছে।

এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিত আয়োজন করা হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধ আরও বিকশিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।