
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ভাবে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছেন হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এদিকে রায়ের পর হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট এজলাসের বাইরেই উত্তীর্ণ শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তারা রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। হাই কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু সময় বিক্ষোভ করেন তারা।
দুপুরে সচিবালয়ের সামনেও অবস্থান করেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিকালে অবস্থান নেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। সেখানে চাকরিতে যোগদানের সুযোগদাবিতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন প্রার্থীরা। সকল আইনী জটিলতা শেষ করে যোগদান না হওয়া পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষনা দিয়েছেন তারা।
তথ্যমতে, ৩০ প্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। গতকাল সেই রুলের ওপর রায় দেওয়া হয়।
নিয়োগ বাতিলের প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের সুপারিশপ্রাপ্ত শতাধিক চাকরিপ্রার্থী। প্রায় আধাঘন্টা অবস্থান করে পরে সচিবালয়ের রাস্তা ছেড়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আরিফ সরকার বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আমরা অনেকেই অন্য চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছি। তিন ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। দুই ধাপে নিয়োগপ্রাপ্তরা ইতোমধ্যে যোগদান করেছে। কিন্তু তৃতীয় ধাপের প্রার্থী হিসেবে আমাদের নিয়োগ বাতিল করা হল। বাতিল করা হলে তিন ধাপেই বাতিল করতে হবে।
শুধু তৃতীয় ধাপ বাতিল করার সুযোগ নেই। জুলাই আন্দোলনের পর এমন অবিচার আমরা মেনে নেব না। আমাদের যোগদান না হওয়া পর্যন্ত প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন চলবে। গত সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খোজ নিয়ে জানা গেছে, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন।