শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

| ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

জাতীয় সম্মেলন ৬-৮ জুন

শিক্ষাখাতে জিডিপির ৮ শতাংশ বরাদ্দের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ১৯ মে ২০২৪

শিক্ষাখাতে জিডিপির ৮ শতাংশ বরাদ্দের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

‘আমাদের শপথের প্রদীপ্ত স্বাক্ষরে নূতন সূর্যশিখা জ্বলবেই’ এই স্লোগানকে ধারণ করে ৪২তম জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করছে ছাত্র ইউনিয়ন।সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশ আগামী ৬ জুন সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত হবে এবং উদ্বোধনী পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিকাল সাড়ে ৩ টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও ছাত্র ইউনিয়নের দলীয় সংগীতের রচয়িতা আখতার হুসেন।

জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে ছাত্র ইউনিয়নের সারাদেশের নেতাকর্মীরা কর্মতৎপরতার মধ্যে রয়েছে। সংগঠনের ৮৪টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪২তম জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে ৩০টি জেলায় সম্মেলন ও কমিটি গঠনের কাজ শেষ হয়েছে। জাতীয় সম্মেলনের পূর্বেই আরো ২২টি জেলায় সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

৬ জুন ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে বাম প্রগতিশীল ছাত্রদের গত এক যুগের সর্ববৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সংগঠনের সভাপতি দীপক শীল ও সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা।

আসন্ন সম্মেলনে ছাত্র ইউনিয়নের দাবি সমূহ: একই ধারার বিজ্ঞানভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক শিক্ষানীতি চালু করতে হবে, শিক্ষাখাতে জিডিপির ৮ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে, শিক্ষা উপকরণের মূল্য কমাতে হবে, উচ্চশিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণে ইউজিসির নতুন কৌশলপত্র বাতিল করতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষকের অনুপাত কমিয়ে ৩০:১ করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির পথিকৃৎ এবং গবেষণামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে, শিক্ষা শেষে কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে, কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করতে হবে, সরকারি চাকুরির পরীক্ষায় আবেদন ফি বাতিল করতে হবে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক গুণ-মান সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগে দলীয় ও স্বজনপ্রীতি পরিহার করে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, যথাযথ প্রশিক্ষণ ও শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে,বাক-স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে, বাক-স্বাধীনতা হরণকারী সকল কালাকানুন বাতিল করতে হবে, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য কমাতে হবে।

এজেড