শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

| ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ

র‌্যাগিংয়ের শিকার মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী, তোলপাড়

ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৩৮, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

র‌্যাগিংয়ের শিকার মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী, তোলপাড়

র‌্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোরগঞ্জের শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীর কক্ষে ভোররাতে প্রবেশ করে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে চতুর্থ ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। মো. ফয়সাল ওরফে ইকরাম নামে ওই মেডিকেল শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়ে একই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় চোখের জল ঝরিয়ে বড় ভাইদের এমন নির্যাতনের বর্ণনা দেওয়ার সময় করুণ আর্তি জানিয়ে বলেন, আর কোনো শিক্ষার্থী যেন ভবিষ্যতে বড় ভাইদের এমন র‌্যাগিং ও নির্যাতনের শিকার না হয়। আর এমন নির্যাতনের ঘটনায় তিনি অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগও করেছেন।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অর্থোপিডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কেনানকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

গত বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জের শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর মনসুর খলিল ছাত্রাবাসের ৩০১ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, প্রফেসর মনসুর খলিল ছাত্রাবাসের সুপার ও এন্টি র‌্যাগিং কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন ওই মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ, রেজোয়ানুল ইসলাম (স্বনন), হৃদয় কান্তি বিশ্বাস তীর্থ, জয়, শাফীন, তাহের ও লিমন এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি, সৌরভ পাল, নাফিজ, অনিমেষ, তাবিব, অনিক ও শাওন।

এরমধ্যে ফয়সাল আহমেদ শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রেজোয়ানুল ইসলাম (স্বনন) ও হৃদয় কান্তি বিশ্বাস তীর্থ সাংগঠনিক সম্পাদক। অভিযুক্ত ফয়সালের দাবি, এটা সাজানো গল্প।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ইকরাম শঙ্কামুক্ত। তার চিকিৎসা চলছে।’

মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আশুতোষ সাহা রায় বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কেনানকে সভাপতি করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’