বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

| ৩ পৌষ ১৪৩২

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

সাংবাদিককে হুমকি দিলেন বেগম রোকেয়ার উপাচার্য ড. শওকাত

ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১২, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

সাংবাদিককে হুমকি দিলেন বেগম রোকেয়ার উপাচার্য ড. শওকাত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকfত আলীর বিরুদ্ধে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে সিন্ডিকেটে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। তবে দীর্ঘদিনেও ভিসি রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করার ব্যাপারে মন্তব্য নিতে ভিসিকে ওই সাংবাদিক কল করলে হুমকি দেন তিনি। এর আগেও এই উপাচার্য এক সাংবাদিকের সার্টিফিকেট আটকে দিবেন বলেও হুমকি দেন বলে জানা গেছে। 

জানা যায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। গত ২৬ নভেম্বর ১১৮তম সিন্ডিকেট সভায় তাবিউর রহমান প্রধানের নিয়োগের জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় সরকারি চাকুরীবিধি ২০১৮ অনুয়ায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।

দীর্ঘদিনেও বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করলে চরম সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অভিযোগ উঠেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ওই শিক্ষককে বাঁচাতে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে একটি চক্র। 

এ অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ইতিহাস ও প্রত্নত্ত্বত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী এম কে পুলক আহমেদ (একটি জাতীয় দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলীর কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করলে ওই সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ভিসি। শুধু তাই নয়, ওই সাংবাদিক কিভাবে চাকরি পায় সেটিও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন উপাচার্য শওকত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেও ঐ সাংবাদিককে শাসান।

উপাচার্য আরো বলেন, তোমার সম্পর্কেও সব জানি। তুমি আমাকে চেনো না এখনো, তোমাকে আমি দেখে নেবো। কোথায় চাকরি হয় সেটাও দেখে নিব। তোমার নামে মামলা করব। এসময় উপাচার্য ভুলভাল ইংরেজিতেও ওই সাংবাদিককে হুমকি দেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক পুলক বলেন, সাংবাদিক হিসেবে আমি উপাচার্যের কাছে একটা বিষয় জানতে চেয়েছিলাম, তিনি উত্তেজিত হয়ে আমার নামে মামলার হুমকি দিয়েছেন। আমি নিরাপত্তা শঙ্কায় রয়েছি।

এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলীকে তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।