শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

| ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

স্বামীর চেয়ে স্যার যখন বেশি আপন হয়, তখন বিষয়টা অস্বাভাবিক না?

ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্বামীর চেয়ে স্যার যখন বেশি আপন হয়, তখন বিষয়টা অস্বাভাবিক না?

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় আলোচনায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। ওই ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সানজিদা নাম উঠে এসেছে। 

জানা যায়, এডিসি সানজিদাকে নিয়েই রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পৃথক বক্তব্য দেন এডিসি হারুন অর রশিদ ও এডিসি সানজিদা। 

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন তার ভেরিফাইড ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। নিম্নে পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হল:

‘আপনি অসুস্থ, আপনার হাজব্যান্ড জানেনা, আপনার আরেক বিভাগের স্যার কিভাবে জানে? 

যদি আপনি জানিয়ে থাকেন, তাহলে এপয়েন্টম্যান্টের জন্য আপনিতো আপনার হাজব্যান্ডকে বলতে পারতেন। কারণ আপনার হাজব্যান্ডের পদ-পদবি আরো বড়। 

স্বামীর চেয়ে স্যার যখন বেশি আপন হয়, তখন বিষয়টা অস্বাভাবিক না? 

আপনার নিজের বড় বোনও ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার, যেহেতু উল্টাপাল্টা পোশাকের বিষয় আপনিই বলেছেন, ইসিজি ইটিটি’তো আপনি ওনার ওখানেও করতে পারতেন।

এছাড়া পুলিশ হাসপাতাল হচ্ছে দেশের অন্যতম ভালো একটা হাসপাতাল, আপনিতো সেখানেও যেতে পারতেন। 
এই এডিসি হারুনকে একসপ্তাহ আগেও আপনার হাজব্যান্ড অনুরোধ করেছিল তার সংসার না ভাঙার জন্য। এরপরও কেন তাঁকেই আপনার সাথে নিতে হলো।আর আপনার হাজব্যান্ড কেন তাকে অনুরোধ করেছিল? 

আপনি যে বারডেমে এটা আপনার হাসব্যান্ড কিভাবে জানলো ? ওনাকেও কি আপনিই জানিয়েছিলেন ? মানে তাদের দুজনকেই আপনি জানিয়েছেন? 

সংসার বাঁচাতে চাওয়া কি একটি বেচারা স্বামীর জন্য  অপরাধ?  

চ্যানেল আইতে পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদার স্বাক্ষাৎকার দেখার পর এই প্রশ্নগুলো মনে আসলো।’

এদিকে এডিসি হারুন অর রশিদের (সাময়িক বরখাস্ত) ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনার বিষয়ে এডিসি সানজিদা আফরিন গণমাধ্যমকে বলেন, গত শনিবার তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুনই আগে এডিসি হারুনের গায়ে হাত তোলেন। এছাড়া তাকেও বিনা কারণে মারধর করেন তার স্বামী।

সানজিদা আফরিন আরও বলেন, আমার স্বামীই হারুন স্যারকে প্রথম আঘাত করে।