শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

| ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

শাবনূর বললেন, জীবনটা খুবই ছোট্ট, এত দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করে কি লাভ?

ক্যাম্পাস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৫, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শাবনূর বললেন, জীবনটা খুবই ছোট্ট, এত দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করে কি লাভ?

আহা জীবন! অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে হচ্ছে যে বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান আর আমাদের মাঝে নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বলা দরকার, সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রীও স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

সোহান আঙ্কেল যাবার আগে আমার বিরুদ্ধে মিডিয়াতে কিছু উল্টা-পাল্টা ও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলেন। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও আমার সম্মানহানি করে গেলেন। অনেকেই তার কটুকথার বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিতে বলেছিলেন। আমি চাইলেই মিডিয়াতে তার এই মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ করতে পারতাম।

এর আগেও উনি কোনো এক ইন্টারভিউতে আমার বিরুদ্ধে এরকম বাজে মন্তব্য করেছিলেন। তখনও আমি তার অপবাদের বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা জবাব দেইনি। সোহান আঙ্কেল অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ, আমার পিতৃতুল্য। আমি কোনো অন্যায় করলে উনি আমাকে শাসন করতে পারতেন। এইতো কিছুদিন আগেও তার সাথে আমার ফোনে আলাপ হয়েছিল। তখন তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আঙ্কেল আপনি কি কোনো কারণে আমার ওপর রাগ করে আছেন? আপনি যে আমার বিরুদ্ধে মিডিয়াতে উল্টা-পাল্টা কথা বলতেছেন। তিনি তখন বললেন তুই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির মেয়ে, আমার মেয়ের মতো, তোর ওপর কেন রাগ করতে যাব। আর আমিতো তোর বিরুদ্ধে কোনো বাজে কথা বলিনি। এর পরে আমার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে তিনি আবারও মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলেন।

কিন্তু আমার একটাই দুঃখ আমি জানতে পারলাম না উনি কেন বা কার চক্রান্তে প্রভাবিত হয়ে আমার পেছনে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। যাই হোক, আমি সবার উদ্দেশ্যে একটা কথা বলতে চাই, ভাই জীবনটা খুবই ছোট্ট। এত দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করে কি লাভ? একে অন্যের বিরুদ্ধে না লেগে আসুন আমরা সবাই মিলে মিশে থাকি। গন্তব্যতো একটাই, সবাইকে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। যেহেতু ক্ষমা একটি মহৎ গুণ, তাই আমি ওনাকে মাফ করে দিলাম। আমি আঙ্কেল ও তার স্ত্রীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)