
পূজাঁর ছুটির সঙ্গে যোগ হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। এই চার দিনের ছুটিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের সবকটি হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের রুম বুকিং হয়ে গেছে। এতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার সৈকতে আগামী শনিবার (৪ অক্টোবর) পর্যন্ত ঠাসা থাকবে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের ৯০ শতাংশের বেশি কক্ষ আগাম বুকিং রয়েছে। এদিকে, পর্যটকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।
এবারের ছুটিতে যেভাবে পর্যটকরা এসেছে, তা অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে। এতে ব্যবসায়ীরা অনেক খুশি। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের সব ধরনের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে পর্যটকরা গিজ গিজ করছে। কোথাও কোনও ধরনের রুম খালি নেই।
পর্যটকদের আগমন নিয়ে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার দুর্গাপূজার ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হওয়ায় হোটেলের শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সদস্য আব্দুল্লাহ খান বলেন, ‘এবারের ছুটিতে যেভাবে পর্যটকরা এসেছে, তা অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে। এতে ব্যবসায়ীরা অনেক খুশি। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের সব ধরনের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে পর্যটকরা গিজ গিজ করছে। কোথাও কোনও ধরনের রুম খালি নেই।’
তারকামানের হোটেল দি কক্স টুডের ব্যবস্থাপক আবু তালেব বলেন, ‘আমাদের একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল এবারের পূজার সরকারি ছুটিতে হোটেল বুকিং ভালো হবে, সেটি পূরণ হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসাই হোটেল মালিকরা লাভের মুখ দেখছে।’
দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চার দিন ছুটি থাকায় রেলের ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে যাত্রীদের টিকিটের চাহিদা বাড়ায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার রাত থেকে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই রুটে ‘ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস’ নামের একজোড়া ট্রেন চালু করেছে।