জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত ৫৪ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদের হাতে কলমের বদলে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষাঙ্গনগুলো মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হয়েছিল। ছাত্রদের জীবন, ভবিষ্যৎ ও মেয়েদের নিরাপত্তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। জাতির ওপর থেকে সেই অন্ধকার অধ্যায় বিদায় নিতে শুরু করেছে, তবে কালো ছায়া এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
আজকের বাংলাদেশ পেতে আমাদের ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা আব্দুল মালেক থেকে শুরু করে সর্বশেষ বিপ্লবী শরিফ উসমান হাদি- অনেকেই এই দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।
২৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মুনতাসির আলিফের পিতা সৈয়দ গাজিউর রহমান। অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী এবং ছাত্রশিবিরের গুমকৃত সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিবিরের চলতি সেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
শফিকুর রহমান বক্তব্যে আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ পেতে আমাদের ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা আব্দুল মালেক থেকে শুরু করে সর্বশেষ বিপ্লবী শরিফ উসমান হাদি- অনেকেই এই দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।
বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, মিথ্যাচার ও অপপ্রচার দিয়ে ছাত্রশিবিরকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী, রগকাটা ট্যাগ বা ক্রসফায়ার, আয়নাঘর দিয়ে ছাত্রশিবিরকে থামানো যাবে না।
