বৃষ্টি উপেক্ষা করে ‘রিমেম্বার আওয়ার হিরোস’ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ৩টায় ক্যাম্পাসের প্রধান সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব মুর্যাল থেকে মিছিল বের হয়।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রশাসন ভবন, ডায়না চত্বর ও অনুষদ ভবন ঘুরে শহীদ মিনারে গিয়ে সমবেত হয়। এসময় ‘শেইম শেইম ডিক্টেটর’ স্লোগান তোলের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের হাতে ‘স্টপ ডিক্টেটরশিপ’, ‘এই ফাগুনে আমরা দ্বিগুন হচ্ছি, তবে কারাগারে নয় রাজপথে’, ‘স্টপ প্রিজনিং ডিসক্রিমেটলি সহ বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ছিল। এছাড়াও তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। আন্দোলনে ইবির সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়কসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ক্যাম্পাস গেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের স্মৃতিচারণা করেন। শহীদ ও আহতদের মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়াও ফেস্টুন তৈরি, গ্রাফিতি অঙ্কন, ডিজিটাল পোট্রের্ট তৈরি করে শহীদদের স্মরণে কনটেন্ট বা লেখা লিখে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে অনলাইনে প্রচার করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সারা দেশে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের প্রতিবাদে এবং জাতিসংঘ কর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের ও ছাত্র সমাজের ৯ দফা বাস্তবায়ন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার এই দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্নভাবে বর্বরতা ও নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে। এই হত্যাকান্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। অনেক শিক্ষার্থী ফেরারী আসামীর মত ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তারা বলেন, আমাদের দিনগুলো অন্ধকারে ছেয়ে গেছে। রাতগুলো হয়ে গেছে গণগ্রেপ্তারের আতঙ্কে। মিথ্যা মামলা দিয়ে অনেকেই অন্যায়ভাবে জেলে আটকে আছেন। বিভিন্ন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলীর ওপরও হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, যাদের পরিবারের লোকজন মারা গেছে তাদের আহাজারি কি আপনাদের কানে পৌঁছায় না? শিশুদের পর্যন্ত আপনারা ছাড়েননি। এমন অনেক শিক্ষার্থী মারা গেছেন তারাই পরবর্তীতে পরিবারের হাল ধরতেন। আমরা এসব অমানবিক হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে গতকাল বুধবার পুলিশের বাঁধা ও ধরপাকড়ের কারণে কুষ্টিয়ায় কোটা সংস্কারপন্থী আন্দোলকারীদের কর্মসূচি পন্ড হয়েছিল। এসময় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন সহ ১৪ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাতে শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনেন।
এআই