শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

| ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Campus Bangla || ক্যাম্পাস বাংলা

‘শিক্ষার স্বার্থে অবকাশ থেকে মুক্তি চাই’

শওকত হোসেন

প্রকাশিত: ১১:২২, ২৭ মার্চ ২০২৪

‘শিক্ষার স্বার্থে অবকাশ থেকে মুক্তি চাই’

"শনিবার স্কুল কলেজ খোলা রেখে রমজানে ছুটি" বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে আরো যাচাই-বাছাই করা জরুরি। স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করা জরুরি। অপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত সমস্যার সমাধান করবে না বরং জটিলতা সৃষ্টি করবে। সাপ্তাহিক ছুটির বৈষম্য কমাতে সবার জন্য সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হয়েছিল। আগের পথে হাঁটলে শিক্ষকদের সাথে প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মচারীদের আবারো ছুটি বৈষম্য তৈরি হবে। সরকারি বেসরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়বে।

আমার বিবেচনায় এটা সমাধান করতে হলে শিক্ষকদের কর্মকালকে অবকাশ মুক্ত করতে হবে। সবার জন্য সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন রাখা যৌক্তিক। তাতে সার্ভিস কনফ্লিক্ট কমে যাবে।

যেহেতু সপ্তাহে দুই দিন ছুটি থাকে সেহেতু শিক্ষক/ শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি বা অবসাদগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা নেই। এজন্য শিক্ষকদের অবকাশ ছুটি বাতিল করা জরুরি। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের অবকাশ ছুটি কমিয়ে দেয়া যেতে পারে। তাতে সবদিকে লাভ।

চলতি ক্যালেন্ডার ইয়ার হিসাব করে দেখলে স্পষ্ট হবে। শিক্ষকদের অবকাশ ছুটি বাতিল এবং শিক্ষার্থীদের অবকাশ ছুটি কমিয়ে দিলে প্রায় ৪০ কর্মদিবস সময় বেশি পাওয়া যায়।

১. শিক্ষার্থীদের শ্রেনিঘন্টা শিক্ষকদের কর্মদিবস বৃদ্ধি পাবে। সিলেবাসে শেষ করা নিয়ে টেনশন থাকবে না।

২. কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় লেবেলে কোর্স শেষ করা, পরীক্ষার জন্য সময় না পাওয়া নিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা রয়েছে। অবকাশ মুক্ত করলে প্রচুর কর্মদিবস বৃদ্ধি পাবে, সময় মতো সিলেবাস ও পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে। সেশনজটের আশঙ্কা কেটে যাবে।

৩. অবকাশ বাতিল করলে ঐ দিনগুলোতে শিক্ষকদের নতুন কারিকুলামের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া যাবে। ক্লাস বন্ধ রেখে প্রশিক্ষণ গ্রহণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হওয়া বন্ধ হবে।

৪. পরিকল্পনা করে ঐ দিনগুলোতে শিক্ষকরা উত্তর পত্র মূল্যায়ণ বা ফলাফল তৈরির কাজ করতে পারবেন। ইনহাউজ প্রশিক্ষণ/ কর্মশালা করতে পারবেন।

৫. শিক্ষকদের অবকাশ বিভাগের কর্মচারী বিবেচনা করে অর্জিত ছুটি থেকে বঞ্চিত করা হয়। এটা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ব্যপক অসন্তোষ আছে। একারণে শিক্ষকদের কর্মকালকে অবকাশ মুক্ত করে শতভাগ অর্জিত ছুটি প্রদান করলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকারের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে শিক্ষকদের মধ্যে ব্যপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

লেখক : 

সাধারণ সম্পাদক, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন আ্যসোসিয়েশন।

এজেড

"এই বিভাগে প্রকাশিত মুক্তমতের সকল দায়ভার লেখকের নিজের। ক্যাম্পাস বাংলা কোনভাবেই এই বিভাগের লেখক কিংবা লেখার বিষয়বস্তুর দায়ভার নিচ্ছে না।"