ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি)। তবে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই আবুল খায়ের নামে এক চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং এর স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে স্ক্রিনশটের সাথে সম্পাদকের কোনো সংশ্লিষ্টতক নেই এবং এডিট করা বলে দাবি করেছেন তিনি।
সোমবার দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে আনিকা তাহসিন নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে স্ক্রিনশট ফাঁস হয়। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ইমাম নিয়োগেও বাণিজ্য করতে ছাড় নাই ইবি ছাত্রলীগের। ওটা রেডি করতে বললেন ইবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক বিবাহিত জয়। ধারণা করা হচ্ছে, ঈমাম পদে চাকরি প্রার্থী আবুল খায়েরের সাথে তার হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন। এদের মরার ভয় নাই। ট্যাকা ছাড়া নিয়োগ নাই।
পাঠকদের উদ্দ্যেশ্যে কথোপকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-
চাকরি প্রার্থী: আমার দিক থেকে কোন সমস্যা নেই। তোমরা যা বলবা আমি তাই করবো। তবে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী বইলো তোমরা দুজন। আর আনোয়ার স্যার আর জাহাঙ্গীর কে বলবা আমি কখনোই তাদের বাইরে যাব নানে।
ছাত্রলীগ সম্পাদক: আনোয়ার স্যার আর জাহাঙ্গীর স্যারকে আপনার ব্যাপারে বলা আছে। আল্লাহর রহমতে সমস্যা হবে না আমরা সিগনাল দিলে আপনি ৬ তারিখের পরে ওইটা রেডি করবেন।
চাকরি প্রার্থী: তোমরা কি ওইদিনই জানতে পারবা?
ছাত্রলীগ সম্পাদক: হুম সেদিনই জানতে পারবো। ইনশাল্লাহ ভাই। আপনি বেশী বেশী নামাজ পরে দোআ করেন ভাই।
চাকরি প্রার্থী: জয় তোমরা যেভাবে বলেছো আমি সেইভাবে রেডি করেছি। বাকিটা তোমরা দু’জন দেখো।
জয়: ভাই আনোয়ার স্যার আর জাহাঙ্গীর স্যার ভিসি স্যারের সাথে কথা বলেছে। কোন সমস্যা নাই। কাল কাজ হলে যেটা বলেছি ওইটা দ্রুত দেয়ার চেষ্টা করবেন। আর ঈমাম হয়ে আমাদের জন্য দোআ করবেন।
চাকরি প্রার্থী: অবশ্যই তোমরা আমার একটা রিজিকের ব্যাবস্থা করে দিচ্ছো তোমাদের এই ঋণ আজীবন মনে থাকবে।
জয়: যাই হোক ভাই সামনাসামনি কথা হবে। আমি খুব কষ্ট করে আরাফাতকে ম্যানেজ করেছি। ওইটা দ্রুত ম্যানেজ কইরেন। খুব সাবধান ভাই। আপনার সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক, সেটা বজায় রাখবেন। বুঝতেছেন এখন আমাদের অবস্থা। ওটা দ্রুত রেডি রাখবেন। আমি ঝিনেদা গেলে ফোন দিবো আপনাকে।
স্ক্রিনশট ফাঁসের বিষয়ে নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ঈমাম নিয়োগ একটি ধর্মীয় অনুভুতির বিষয়। এখানে বাণিজ্যের কোনো সুযোগ নেই। ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটটা এডিট করে বানানো হয়েছে। এর সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, কে কার সাথে কথা বলেছে, কে কোথায় টাকা চেয়েছে বা দিয়েছে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। এখানে ধর্মত এবং যোগ্য প্রার্থীই নিয়োগ পাবে। স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এআই